In 2022, the United States and Bangladesh celebrated 50 years of friendship. Composed of 50 photographs, Roots of Friendship covers the roots and routes of this unfolding journey between these two nations and is a special tribute to the golden jubilee of Bangladesh’s independence. Through pivotal historical events and personal moments, the exhibition goes beyond diplomatic bonds and underscores people-to-people connections. It explores the stories of Bangladeshi people who have found a new home in the United States and have woven themselves into the fabric of communities throughout the nation. The images also reveal how the United States has simultaneously extended its friendship, resources, and technical expertise in rebuilding the Bangladeshi economy after its independence from Pakistan on December 16, 1971.
Like all diplomatic partners, Bangladesh and the United States have had to make adjustments through periods of difficulty. Following Bangladesh's transition to democracy and implementation of free-market policies in the 1990s, however, the relationship between the two countries has grown stronger and more cooperative. Since then, Bangladesh has progressed in economic development, maternal health, and primary education. It is a major player in South Asia and a valuable regional partner to the United States. Over the period of this diplomatic relationship—as well as before it was officially established—the U.S. has invested billions of dollars to improve the lives of people in Bangladesh, to strengthen democracy and the rule of law, to invest in economic and social development, and to assist Bangladesh in facing the challenges of climate change. The U.S.-Bangladesh relationship benefits both countries and will become even more robust and fruitful over the years, creating a resilient network of connections. As Ted Kennedy Jr. said during his family’s commemorative visit to Dhaka in 2022, it is “a bond as strong and as broad as a banyan tree.”
— Lamia Karim, University of Oregon
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ তাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। ৫০টি আলোকচিত্র নিয়ে বন্ধুত্বের বীজ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে দুই দেশের মধ্যেকার ক্রমপ্রসারমান যাত্রার আদি থেকে শুরু করে এর বিভিন্ন পথরেখা তুলে ধরা হয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি বিশেষ নিবেদন। গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও বিভিন্ন ব্যক্তিগত মুহূর্ত তুলে ধরার মাধ্যমে প্রদর্শনীটি কূটনৈতিক বন্ধনের ঊর্ধ্বে গিয়ে দু’দেশের মানুষের মধ্যেকার সম্পর্কের ওপর দৃষ্টি দিয়েছে। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশীদের গল্প তুলে আনা হয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে এবং পুরো দেশ জুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সূতার বুননে নিজেরা আবদ্ধ হয়েছে। ছবিগুলোতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে একইসাথে বন্ধুত্ব, সংস্থান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার হাত বাড়িয়েছে সে বিষয়গুলোও উঠে এসেছে।
সকল কূটনৈতিক অংশীদারের মতো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রকেও কঠিন সময়ে মানিয়ে চলতে হয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণ এবং মুক্ত-বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার পরই কেবল দু’দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরো শক্তিশালী ও বেশি সহযোগিতাপূর্ণ হয়েছে। এরপর থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মাতৃস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষায় এগিয়ে গেছে। দেশটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। কূটনৈতিক সম্পর্কের এ সময়কালে এবং এই আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন শক্তিশালীকরণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা দিতে বাংলাদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক উভয় দেশের জন্য উপকারী এবং বছরের পর বছর ধরে এটি আরো শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ হবে, যার ফলে ঝুঁকিসহিষ্ণু সংযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। ২০২২ সালে ঢাকায় টেড কেনেডি জুনিয়র পরিবারের স্মৃতিচারণমূলক সফরকালে তিনি যেমন বলেছিলেন, বন্ধনটি “বটবৃক্ষের মতো শক্তিশালী ও বিস্তৃত।”
— লামিয়া করিম, ইউনিভার্সিটি অফ অরেগন